প্রকাশিত: Sun, Feb 19, 2023 4:07 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 5:24 PM

বন্ধুদের দুর্ঘটনায় আমার কোনো হাত ছিল না: ফেসবুকে লাবীব

সালেহ্ বিপ্লব: কানাডার টরন্টোতে তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনা কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড, এমন একটি প্রশ্ন তুলেছেন নিহত আরিয়ান আলম দীপ্তের  বাবা-মা। সেদিন চার বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে না যাওয়া লাবীবের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তারা। এ নিয়ে ভিডিও প্রতিবেদন করেছে সময় টিভি, রিপোর্ট করেছে আরটিভি অনলাইন। আরো কিছু গণমাধ্যমে খবরটি এসেছে। সময় টিভির নাম উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন লাবীব।তিনি লিখেছেন, ইন্টারনেটে সময় টিভির যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে আমার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো মহল আমাকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলো। আমি নাকি রেসে অংশ নিয়েছি। প্রকৃত সত্য হলো, আমি কাজ থেকে রাত ৯টায় বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ি। অন্টারিও পুলিশের ফোনে রাত ৩টায় আমার ঘুম ভাঙ্গে। তারা আমাকে জানায়, একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাসায় এসে সরাসরি কথা বলার জন্য পুলিশ আমার ঠিকানা চায়। 

লাবীব বলেন, আমি কখনোই পুলিশের এ ধরনের ফোন পাইনি। তাই কিছুটায় ভয় পেয়ে যাই। পুলিশ এসে আমাকে গরম কাপড় পরে নিতে বলে। এরপর আমাকে নেওয়া হয় সেইন্ট মাইকেলস হাসপাতালে। তখনো আমি জানি না আসলে কার কী ঘটেছে। 

আমাকে কারো মরদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। ফলে আমি কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি। আর মরদেহ দেখার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলামও না। নিবিড় ছাড়া আর কারো পরিবারের ফোন নাম্বার আমার কাছে ছিলো না। আমি নিজেই যেহেতু ঘটনা সম্পর্কে জানতাম না, কাউকে কিছু বলার প্রশ্নই আসে না।

লাবীব লিখেছেন, এই তরুণরা আমাকে চাচ্চু বলে ডাকতো। আমাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসতো। তারা ছিলো আমার পরিবারের মতো। আমার যেনো গোটা পরিবারটাই হারিয়ে গেলো, এটা কেউ বুঝবে না।  এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধান কর্তব্য, শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো, যেনো তারা এই কঠিন পরিস্থিতি পার করতে পারেন।

তিনি বলেন, শোকাহত পরিবারগুলোও অসত্য খবরগুলো পড়ছে, দেখছে। আমি ফিউনারেলের ব্যাপারে কথা বলতে আরিয়ানের বড়ো বোনের সঙ্গে দেখা করার কথা। এই সময় যখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, বিষয়টি আমার চলে যাওয়া বন্ধুদের পরিবারকে আহত করছে।

সামাজিক গণমাধ্যম ও প্রচার মাধ্যমে ভিত্তিহীন খবর প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন লাবীব। সম্পাদনা: এল আর বাদল